বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

তুরস্কে ভূমিকম্পের পর পরাঘাত হয়েছে ৬৬ বার

তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ান শহর ইদলিবের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া একটি ভবনে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি
আপডেটেড
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:২৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৪:২২

তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।

তথ্যানুযায়ী, অন্তত ৯টি প্রদেশে পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে ৩ বার। ৫ মাত্রার বেশি ১৪ বার আর ৪ মাত্রার বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে ৩৪ বারেরও বেশি।

মূল ভূমিকম্পের ১১ মিনিট পরই সবচেয়ে শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থলের ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের সেই ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৬.৭। মূল ভূমিকম্পের ১৯ মিনিট পর ৫.৬ মাত্রার আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।

সোমবার ভোর ৪টায় বেশিরভাগ মানুষ যখন ঘুমে নিমগ্ন, তখনই অনুভূত হয় তুরস্কের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ ভূমিকম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।

নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, তুরস্কে ২৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যেখানে আহতের সংখ্যা ২৩ শ’রও বেশি। আর প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩২০। দেশটিতে ৬৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ার আলেপ্পো, লাতকিয়া, হামা ও তারতুসে এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানায় রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা।

তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।

বিষয়:

এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে এবার প্রাণ গেল এক ভারতীয় পর্বতারোহীর। আজ মঙ্গলবার নেপালের পর্যটন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এভারেস্ট থেকে গত সপ্তাহে উদ্ধার করা হয়েছিল ৪৬ বছর বয়সি বংশী লালকে। এরপর কাঠমান্ডুর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল; কিন্তু এদিন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে চলতি মৌসুমে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখর জয় করতে গিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ জনে।

জানা গেছে, ৮০০০ মিটারের ওপরে বাতাসের ঘনত্ব অত্যন্ত কম থাকে। তাই অক্সিজেনও কম থাকে। তার ওপর মাঝেমধ্যেই তুষার ঝড় সৃষ্টি হয়। এতে মূলত হতাহতের ঘটনা ঘটে। ৪৬ বছরের বংশী লালের মৃত্যুর আগে একজন ব্রিটিশ পর্বতারোহী এবং একজন নেপালি গাইডসহ আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে চলতি মৌসুমে। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর মোট ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।

তা ছাড়া বুধবার ৩০ বার মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় ওঠে নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন কামি রিতা শেরপা। ১০ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায় ওঠেন তিনি। অন্য আরেক শেরপা এখন পর্যন্ত ২৭ বার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন। তার অবস্থান কামি রিতার পরে।

বিষয়:

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। আজ মঙ্গলবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশ তিনটি। গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশগুলো। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এই খবর জানিয়েছে।

আইরিশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) সকালে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয় ‘আইরিশ সরকার ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং ডাবলিন ও রামাল্লার মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রামাল্লায় আয়ারল্যান্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসের সঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে আয়ারল্যান্ডের একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হবে।’

আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস জানিয়েছেন, শান্তির আশাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আশাকে বাঁচিয়ে রাখতেই আয়ারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। এটি বিশ্বাস করা যে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তাসহ পাশাপাশি অবস্থান করার একমাত্র উপায় হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আমি আবারও বিশ্ববাসীর কথা শোনার এবং গাজায় আমরা যে মানবিক বিপর্যয় দেখছি তা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন। আজ মঙ্গলবার স্পেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্পেনের মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। স্প্যানিশ সরকারে মুখপাত্র পিলার অ্যালেগ্রিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পিলার অ্যালেগ্রিয়া বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার উদ্দেশ্য হলো- ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি অর্জনে সহায়তা করা।’

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের জন্য একটি ‘প্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ বলে মনে করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই শান্তি অর্জন করতে চাই তবে...ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি একটি অপরিহার্য প্রয়োজন।’ এ সময় তিনি জানান, পূর্ব জেরুজালেম হবে এই রাষ্ট্রের রাজধানী।

এর আগে দেশগুলোর নেতারা জানিয়েছিলেন, তাদের দেশ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে, যা কার্যকর হবে আগামী ২৮ মে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গর স্তোর গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ইসরায়েলের স্বার্থের জন্যই ভালো। এ সময় তিনি জানান, তার দেশ ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে ২৮ মে। তিনি বলেন, ‘যদি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে) স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে কখনোই শান্তি আসবে না।’

নরওয়ের ঘোষণার একটু পরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার দেশও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ঘোষণা দিচ্ছে যে, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। এই দেশগুলো এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, অন্যান্য দেশও আমাদের পথ অনুসরণ করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পালটা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। তখন প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যান সশস্ত্র যোদ্ধারা।

বিষয়:

পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সেন্ট্রিফিউজ পরিদর্শন করছেন এক ইরানি শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইরান। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দেশটি। একই সঙ্গে আবার জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতাও বাড়াতে চায় দেশটি। গত সোমবার আইএইএতে প্রকাশিত দুটি পৃথক নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

আইএইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, তা ২০১৫ সালে বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ বেশি। আইএইএর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরানি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইরানের কাছে বর্তমানে ১৪২ দশমিক ১ কেজি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, যা গত ফেব্রুয়ারিতে থাকা পরিমাণের চেয়ে ২০ কেজি বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক থিংকট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্সেস অব ডেমোক্রেসিসের নন-প্রলিফারেশন অ্যান্ড বায়োডিফেন্সের প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়া স্ট্রাইকার ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, ‘এটি খুবই ভয়াবহ চিত্র যে, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ইরান বিপজ্জনকভাবে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।’

স্ট্রাইকারের মতে, ‘এখন ইরানের কাছে যে পরিমাণ ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, যা দিয়ে প্রায় চারটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। কোনো দেশ চাইলে এই মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এর বাইরেও সম্ভবত সব মিলিয়ে ইরানের কাছে সামগ্রিকভাবে ১৩টিরও বেশি অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে এবং তারা প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে এটিকে পরিপূর্ণ ওয়েপন-গ্রেড ইউরেনিয়ামে উন্নীত করতে পারবে।’

পাঁচ মাসে সম্ভব না হলে বড়জোর ছয় মাস সময় লাগবে বলে মনে করেন স্ট্রাইকার। তিনি বলেন, ‘এরপর (পুরোপুরি প্রয়োজনীয় মাত্রায় সমৃদ্ধ করার পর) তাদের অন্তত ছয় মাস লাগবে সেই জ্বালানিকে একটি পারমাণবিক বোমায় তৈরি করতে এবং তারপর আরও দীর্ঘ সময়- সম্ভবত এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে এটিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে স্থাপনে সক্ষম হতে।’

এই গবেষকের মতে, মূলত একবার ইউরেনিয়াম পরিশোধনের ২০ শতাংশ স্তরে পৌঁছানো মানে প্রযুক্তিগত স্তরে বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন করে ফেলা এবং তারপর পরমাণু অস্ত্র তৈরি কেবল কয়েক দিনের ব্যাপার।

বিষয়:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের বাংলাদেশসংলগ্ন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এর আগে রোববার মাঝরাতে তা পশ্চিমবঙ্গের ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যটিতে আকাশ ও স্থল যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মহানগরটিতে। এ ছাড়া এ সময় শহরটিতে গড়ে ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। কলকাতার বিমানবন্দর এলাকার দমদমসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ঘণ্টায় ৯১ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মধ্যে হলদিয়ায় বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ১১ কিলোমিটার, তমলুকে ৭০ কিলোমিটার এবং নিমপিথে বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো অবকাঠামোসহ বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক, এমনকি কলকাতায়ও ঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

চলতি মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা থেকে ছেড়ে যায় এমন বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় এই ট্রেনগুলোর কার্যক্রম আবার শুরু হয়। কেবল ট্রেন চলাচল নয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাহত হয়েছিল বিমান চলাচলও। গতকাল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে ফ্লাইট আবার শুরু হবে।

রেমালের প্রভাবে কলকাতায় থেমে আছে ভোটের প্রচারণা

রেমালের ফলে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় কলকাতায় রোববার কোনো প্রচার হয়নি। সোমবারও কার্যত হয়নি। কলকাতায় ভোট ১ জুন। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগে শেষ রোববার কোনো দলই প্রচার করতে পারেনি। অবশ্য এই দুর্যোগের মধ্যে এখন সব প্রধান রাজনৈতিক দলই মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইছে। কলকাতায় যেসব জায়গায় গাছ পড়েছে, সেখানে তৃণমূলের কর্মকর্তারা পুরসভার কর্মীদের নিয়ে দ্রুত তা কাটার ব্যবস্থা করার জন্য তৎপর হয়েছে।

ভিআইপি রোডে হলদিরামের কাছের একটি আবাসনের বাসিন্দা রোহিত জানিয়েছেন, ‘তাদের এলাকায় চারটি গাছ পড়ে গিয়েছিল। সকালেই তৃণমূলের ছেলেরা এসে দ্রুত তা কেটে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। রেমালের আঁচ তারা ভোটে পড়তে দিতে চায় না।’

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তারা মানুষের পাশে থাকবেন। সিপিএমের প্রবীণ নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুর্গত এলাকায় চলে গেছেন। তিনি একটি স্কুল মানুষের থাকার জন্য খুলে দিয়েছেন। বাঁধের অবস্থা দেখেছেন। কান্তি বলেছেন, ‘এই সময় ভেদাভেদ ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী উপকূলের এলাকার মানুষের জন্য একটি হেলপলাইন খুলেছেন। উপকূলে ৫০ জন কংগ্রেসকর্মীকে পাঠিয়েছেন মানুষকে সাহায্য করার জন্য। কলকাতাতেও বাইকসহ কংগ্রেসকর্মীদের প্রস্তুত রেখেছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আজ মঙ্গলবার কলকাতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোড শো আছে। সেই কর্মসূচি হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় এখনো আছে। সোমবারও কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে রেমালের ফলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। বিজেপি নেতা সৌরভ শিকদার জানিয়েছেন, আবহাওয়ার দিকে তারা নজর রাখছেন। ফলে মোদির রোড শো নিয়েও একটা অনিশ্চয়তা আছে।

কলকাতার অবস্থা

রোববার কলকাতায় ঝড়ের দাপট ও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় রাত ৯টা থেকে। ১০টা পর্যন্ত তীব্র বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড় ছিল। রাস্তায় গাড়িও অনেক কম দেখা গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝড় ও বৃষ্টির গতিও বেড়েছে। ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতায় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার।

কলকাতার আধুনিক উপনগরী সল্টলেকের প্রতিটি ব্লকেই অন্তত একটা করে পার্ক আছে। অনেক ব্লকে গাছ পড়েছে রোববার রাতে। গাছ পড়েছে লেক টাউনেও। এমনকি কলকাতা পুরসভার অফিসের কাছেও গাছ পড়েছে। কলকাতার ভিতরে রাস্তায় কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটুজল জমে। ক্যামাক স্ট্রিটের মতো এলাকায় হাঁটুজল। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে পানি জমেছে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন; কিন্তু সকাল থেকে শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ। শিয়ালদহে সকাল ছয়টা থেকে ট্রেনের অপেক্ষায় মানুষ বসেছিলেন। পার্ক স্ট্রিট মোট্রো লাইনে পানি ঢুকে যাওয়ায় মেট্রো বন্ধ ছিল।

সোমবার সকালেও কলকাতার আকাশে কালো মেঘ। ভোরের দিকে বৃষ্টি একটু কমেছিল। আটটা থেকে আবার শুরু হলো বৃষ্টি। খুব জোরে নয়; কিন্তু সমানে বৃষ্টি পড়ছে।


যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডব, নিহত ১৮

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডো আঘাত হেনেছে। টর্নেডোর তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮ জন। এতে হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে আজ সোমবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টর্নেডো ওকলাহোমা, টেক্সাস এবং আরকানসাসে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। এর মধ্যে শুধু টেক্সাসেই মারা গেছেন সাতজন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে হতাহতের পাশাপাশি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়েছে ২০ হাজার পরিবার।

ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন অবকাঠামো, উপড়ে গেছে গাছপালা। বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি।

গত শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া দপ্তর সতর্কতা জারি করেছিল। কর্মকর্তারা জানান, ওকলাহোমা সীমান্তের কাছে টেক্সাসের কুক কাউন্টিতে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সেখানে শনিবার রাতে টর্নেডো একটি মোবাইল হোম পার্কের কাছে একটি গ্রামীণ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ওকলাহোমায়ও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।


রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: নাশকতার প্রমাণ পায়নি ইরানের সামরিক তদন্তকারীরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্য সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ইরানের সামরিক তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে সামরিক বাহিনীর একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, একটি ‘উঁচু এলাকায় আঘাত করার পর হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়’ এবং এটির ধ্বংসাবশেষে ‘বুলেটের কোনো গর্ত’ পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রোববার বিধ্বস্ত হওয়ার আগে রাইসির হেলিকপ্টারটি ‘পূর্ব-নির্ধারিত পথেই উড়ছিল এবং নির্ধারিত গতিপথ কখনো ত্যাগ করেনি। ওয়াচ টাওয়ার এবং ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে যোগাযোগের সময় কোনো সন্দেহজনক বিষয়বস্তু পরিলক্ষিত হয়নি।’

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফদের একটি বিবৃতি অনুসারে, রাষ্ট্রপতিকে পরিবহনকারী হেলিকপ্টার এবং সঙ্গে থাকা অপর দুই হেলিকপ্টারের মধ্যে চূড়ান্ত যোগাযোগ দুর্ঘটনার প্রায় দেড় মিনিট আগে রেকর্ড করা হয়েছিল। হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ সোমবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খুঁজে পায় দেশটির ড্রোন।

তবে এ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রথম বিবৃতিতে কাউকে দোষারোপ করা না হলেও ইরানি কর্তৃপক্ষ বলেছে, আরও বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হবে। সেনাবাহিনী বলেছে, তদন্ত পরিচালনার জন্য আরও সময়ের দরকার।

রাইসি ও তার সমভিব্যাহারীদের বহনকারী বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি বেশ পুরোনো ছিল। রোববার আজারবাইজানের সঙ্গে ইরানের সীমান্তে ভ্রমণশেষে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা ফিরছিলেন। প্রেসিডেন্ট রাইসি এর আগে আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে যৌথভাবে একটি বাঁধ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালের ইরানের বিপ্লবের সময় থেকে এবং পরবর্তীকালে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর আরোপিত বিদেশি নিষেধাজ্ঞার ফলে আকাশযানের যন্ত্রাংশ বা নতুন বিমান-হেলিকপ্টার সংগ্রহ তেহরানের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।


ভারতে লোকসভা নির্বাচন: ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে

আপডেটেড ২৫ মে, ২০২৪ ১৫:৪৬
ইউএনবি

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লড়াইয়ে বিরোধী জোটের বিপক্ষে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার দেশটির লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে।

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে এদিন সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই কেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।

রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের ৫৮টি নির্বাচনি এলাকায় ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশটির ৮৯.৫ শতাংশ আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ ধাপে ৫৭টি আসনে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ৬ সপ্তাহব্যাপী বিশাল এ নির্বাচনি কর্মযোগ্য শেষ হবে। ভোটের ফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।

এদিন রাজধানীতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর মতো বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আজ ভোট দিতে দেখা গেছে।

এদিকে দলের শতাধিক কর্মীকে আটকের অভিযোগ তুলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিক্ষোভ করেছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন নির্বাচনে অনন্তনাগ-রাজৌরি এলাকা থেকে ভোটে দাঁড়ানো এই নেত্রী।

অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন এ আসনে বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়।

চলমান এই নির্বাচনকে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। মোদির রাজনৈতিক আধিপত্যেরও পরীক্ষা হবে এই নির্বাচনে। এবার নির্বাচিত হলে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন তিনি।

নির্বাচনের প্রথম ৫ ধাপে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে দেশটির কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিতে উঠেছে। ভোটকেন্দ্রে টানতে নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ ভোটারদের জন্য ফ্যান, তাঁবু ও পানির ব্যবস্থা করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে হয়ে যাওয়া ভোটে মোদির বিজেপির জয়ের ব্যাপারেই ইঙ্গিত দিয়েছে বেশিরভাগ জরিপ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশীদ কিদওয়াই বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম দিকে মনে হয়েছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন প্রতিযোগিতায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি। তবে এখন আমরা এক ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। বিরোধী দলগুলো প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করছে এবং মনে হচ্ছে মোদির দল বিপর্যস্ত।’

এ কারণেই ভোটারদের নিজের দলের প্রতি আকৃষ্ট করতে মোদিকে মুসলিম-বিদ্বেষী বক্তৃতা দিতে দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্রমবর্ধমান বেকারত্বকে নির্বাচনি প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছে বিরোধীরা। এতে মোদি এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন যে নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুরুতে নির্বাচনি প্রচারে মোদি তার গত ১০ বছরের শাসনামলে দেশের দরিদ্র নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পাকা টয়লেট ও নারীদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়ার মতো কাজগুলো তুলে ধরেন। তবে প্রথম ধাপের ভোটে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটারদের সাড়া না পেয়ে পদ্ধতি বদলান তিনি। এরপর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিকদের বেশি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে হিন্দু জাতীয়তাবাদকে উস্কে দেওয়া শুরু করেন তিনি।


আগের শর্তে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় রাজি রাশিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আগে রাজি হওয়া চুক্তির শর্তেই ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলেন তিনি একথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘ফের আলোচনা হোক, তবে এক পক্ষ যা চায় তার ওপর ভিত্তি করে নয়, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং বেলারুশ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনার সময় যেসব বিষয়ে একমত হয়েছিলাম, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে।’

২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনার সময় রাজি হওয়া চুক্তিগুলো দুই পক্ষকেই সন্তুষ্ট করেছিল জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘ওই চুক্তির ভিত্তি ফের ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে সমস্যা নেই।’


আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই রাফায় ইসরায়েলের হামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরায়েল শনিবার রাফাসহ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালিয়েছে।

এর একদিন আগে জাতিসংঘের শীর্ষ আলাদত রাফায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করেই ইসরায়েল হামলা চালালো।

এদিকে গাজায় য্দ্ধুবিরতি প্রতিষ্ঠায় নতুন করে আলোচনা শুরু হচ্ছে। প্যারিসে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতেও ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাসের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

উত্তর গাজা থেকে আরো তিন জিম্মির লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আদালত হামাসের প্রতি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানায়।

উল্লেখ্য, হেগ ভিত্তিক এই আদালতের নির্দেশ মানায় আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা সরাসরি প্রয়োগের কিছু কৌশলগত সমস্যা রয়েছে।
আদালত মিসর ও গাজার মধ্যকার রাফা ক্রসিং খুলে দিতেও ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েল রাফায় হামলা শুরুর জন্যে এ মাসে রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

এদিকে হামাস রাফায় হামলা বন্ধে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে। একইসঙ্গে গাজার অন্যান্য এলাকাকে অন্তর্ভূক্ত না করায় আদেশের সমালোচনাও করেছে।

ইসরায়েল আদালতের আদেশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাফায় বোমা হামলা চালায়। এদিকে ইসরায়েলী সেনা ও হামাসের সশস্ত্র শাখার মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গাজায় সহিংসতা নিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পৃথক বৈঠকের প্রাক্কালে আইসিজে রাফায় হামলা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
প্যারিসে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও ইসরায়েলী প্রতিনধিদের সাথে এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁেক্রা ও গুরুত্বপূর্ণ চার আবর দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের কথা রয়েছে।

ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১২১ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩৫ হাজার ৮শ’ বেসামরিক ফিলিস্তিনী নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।


তীব্র দাবদাহের কবলে দক্ষিণ এশিয়া, ভারতে নয়জনের মৃত্যু

তীব্র গরমে প্রশান্তি পেতে পাকিস্তানের লাহোরে পানিতে নেমেছেন কয়েকজন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে। তীব্র দাবদাহের কবলে পড়েছে এই অঞ্চলের দেশগুলো। ভারতের রাজস্থানে তীব্র গরমের কারণে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত মাসে ভয়াবহ তাপমাত্রা দেখেছে এশিয়া। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে গ্রীষ্ম মৌসুমে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা যায় মে মাসে। কিন্তু এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বারমের শহরে ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

এদিকে পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানে অন্তত ২৬টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত দেশটিতে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশের অন্তত দুটি শহরে গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। আগামী রোববার এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়া ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ভারী বৃষ্টিতে চলতি সপ্তাহে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তীব্র গরমে রাজস্থানে নয়জনের মৃত্যু

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজস্থানে তীব্র গরমের কারণে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বারমের শহরে ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

পাকিস্তানে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক স্কুল

অস্বাভাবিক গরম-তাপপ্রবাহের কারণে পাকিস্তানের চার প্রদেশ ও তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন স্কুলগুলোর নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে বাধ্য হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য পাঞ্জাবে আগামী এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাদেশিক সরকার।

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২৫ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পাঞ্জাবের সব প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে। কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি চায়, তাহলে এই সময় পরীক্ষা নিতে পারবে; তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার ব্যাপারটি সবার আগে বিবেচনা করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ এবং অন্য তিন প্রদেশ সিন্ধ, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা পৌঁছেছে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রীষ্মকালে পাকিস্তানের স্বাভাবিক যে গড় তাপমাত্রা, তার চেয়েও স্থানভেদে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম পড়েছে চলতি বছরের মে মাসে। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন জানিয়েছে, বড় শহরগুলোতে হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য গরমজনিত শারীরিক সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন শত শত রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

আবহাওয়াগত কারণে পাকিস্তানে স্কুল বন্ধ হওয়া বিরল নয়। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় সপ্তাহের পর সপ্তাহ ডুবে ছিল দেশটির মোট ভূখণ্ডের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। বন্যায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ৩ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ। সেবারও দিনের পর দিন বন্ধ ছিল স্কুলগুলো।

রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের জলবায়ু-বিষয়ক উপদেষ্টা রুবিনা খুরশিদ আলম বলেন, পাঞ্জাবের ২৬টি জেলার সবগুলোতে, সিন্ধের দক্ষিণাঞ্চলে এবং বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন আগে থেকে ব্যাপক তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এবং আগামী অন্তত এক সপ্তাহ এই অবস্থা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে রুবিনা বলেন, ‘উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের যেসব দেশ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আবহাওয়াগত দুর্যোগ ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে, সেসব দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে পাকিস্তান।’


রাফায় অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা শহরে সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। আজ শুক্রবার এই আদেশ দেয় আদালতটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

শুনানিতে আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারক নাওয়াফ সালাম বলেছেন, আদালতের প্রথমে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে ২৮ মার্চের আদেশের পর পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে গাজা উপত্যকার মানুষের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

বিচারক সালাম বলেছেন, আইসিজে রাফায় ইসরায়েলকে আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি গাজাবাসীর অধিকারের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, আইসিজের পূর্বের আদেশের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। ফলে এই মামলায় নতুন জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিস্থিতি নিয়েও বিচারক কথা বলেছেন। জিম্মিরা এখনও বন্দি থাকায় গভীর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রতি আইসিজের নির্দেশের মধ্যে রয়েছে, রাফায় অভিযান বন্ধ, মানবিক ত্রাণ প্রবেশের জন্য রাফাহ ক্রসিং চালু করা, তদন্তকারী ও ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের গাজায় প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা এবং এক মাসের মধ্যে এই পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি আদালতকে জানানো।


গাজায় আবারও ইসরায়েলের হামলা, ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত আরও ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনা ঘটেছে। এই ভূখণ্ডজুড়ে চালানো পৃথক কিছু হামলায় তারা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলার কারণে এখন পর্যন্ত রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৮ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর গাজায় আকাশ ও স্থলপথ জুড়ে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাফায় হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক লড়াই চলছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এবং হামাসের সশস্ত্র শাখা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো রাফার আরও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে, শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ইবনার দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং তিনটি পূর্ব শহরতলিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আরও পশ্চিমে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ইবনার প্রান্তে রয়েছে, যা ঘনবসতিপূর্ণ। তারা এখনও এটি আক্রমণ করেনি।’

তিনি রয়টার্সকে আরও বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি, এবং আমরা দেখছি যে সেনারা আক্রমণ করেছে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে।’

এই মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে একযোগে ইসরায়েলি হামলার ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সাহায্য প্রবেশের প্রধান প্রবেশ পথও বন্ধ করে দিয়েছে, যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিও বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়াই রাফাতে স্থল হামলা শুরু করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা গাজার দক্ষিণের এই শহরটিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে সমালোচনাও করেছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, সেখানে হামাস যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে তাদের অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।

গাজায় পরিচালিত প্রধান সাহায্য সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস বলছে, চলতি মে মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েল রাফা শহরটিতে হামলা শুরু করার পর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত ৮ লাখেরও বেশি মানুষ রাফা থেকে পালিয়ে গেছেন।

গাজায় নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের জরুরি প্রতিক্রিয়া নেতা সুজে ভ্যান মিগান বলেছেন, অনেক বেসামরিক নাগরিক এখনও সেখানে আটকে আছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাফা শহরটি এখন তিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিশ্বের সমন্বয়ে গঠিত: পূর্ব দিকটি মৌলিক যুদ্ধ অঞ্চল, মাঝামাঝি অঞ্চলটি ভৌতিক শহরে পরিণত হয়েছে এবং পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত জনবহুল জনগোষ্ঠী শোচনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।’

নৃশংস হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল খাবার পানীয়, খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি সরবরাহের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি হাসপাতালও বন্ধ করতে বাধ্য করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে বিদ্যুৎ জেনারেটরে ‘কয়েক মিনিটের’ জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। জ্বালানি শেষ হলে ১৩০০ জন রোগীর সেবাও শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গত বুধবার যুদ্ধে তাদের আরও তিন সৈন্য নিহত হয়েছে। এতে করে গত ২০ অক্টোবর থেকে গাজায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যা বেড়ে ২৮৬ জনে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ৩৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

বিষয়:

রাইসির জানাজায় ১০ লাখ জনতা

ইমামতি করলেন খামেনি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের জানাজায় অংশ নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক জনতা। জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনি।

আজ বুধবার সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসিসহ দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মরদেহের কফিন নিয়ে আসা হয়। জানাজা নামাজ শেষে মরদেহগুলোতে লাখো জনতা শ্রদ্ধা জানান। তেহরানে শেষযাত্রা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মরদেহগুলো তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাড়িতে করে আজাদি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানাজার নামাজের একটি ভিডিও খামেনির এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধ খামেনি লাঠিতে ভর করে হাসিমুখে মরদেহগুলোর কাছে এগিয়ে আসছেন। এরপর তিনি সমবেত সকলকে নিয়ে জানাজার নামাজ পড়েন।

শোকার্ত জনতার হাতে ছিল রাইসির ছবিসহ নানা বক্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ড। এর আগে তাবরিজ ও কোম শহরেও শেষযাত্রায় মানুষের ঢল নামে।

এর আগে মঙ্গলবার, তাবরিজ, কোম এবং তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবানিজ হিজবুল্লাহ প্রতিরোধের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেমসহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অক্ষের নেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের নেতা, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা জানাজায় অংশ নেন।

সোমবার সকালে ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। ওই দুজন ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজের জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন সেই হেলিকপ্টারের আরোহী ছিলেন।

রাইসি’র বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনির স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হয়েছিল।

রাজধানীতে প্রয়াত এই প্রেসিডেন্টকে ‘সেবার শহীদ’ হিসেবে সম্বোধন করে বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। অপরদিকে রাইসি’র বিরোধিরা ‘সুবিধাবঞ্চিতদের সেবককে বিদায়’ লিখে ব্যানার উড়াচ্ছে।

তেহরানের বাসিন্দারা তাদের ‘সেবার শহীদের জানাজায় যোগদান’ করার আহ্বান জানিয়ে মুঠো ফোনে বার্তা পেয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় মিডিয়া পরিবেশিত খবরে বলা হয়, শোক মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের কেন্দ্রস্থলে সুবিশাল ইঙ্গেলাব স্কোয়ারে যাওয়ার কথা রয়েছে। এতে বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন।


banner close